শিক্ষা সহায়তা উপবৃত্তি নগদ-এ, শুরু হয়েছে নিবন্ধন

[ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার] বিভিন্ন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে আবারো ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’-এর বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বরাবরের মতো ডাক বিভাগের মোবাইল ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এই বৃত্তি ও উপবৃত্তি।

 

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদির জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বৃত্তি ও উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন। এই দফায় ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করবে সরকার। ইতিমধ্যে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

নিবন্ধনের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কয়েক ধাপে যাচাই বাছাইয়ের পর নির্বাচিতরা এই উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন, যা বিতরণ করা হবে নগদ-এর মাধ্যমে।

 

গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ ও নবম (বিশেষ ক্ষেত্রে) এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান শ্রেণীর জন্য শিক্ষার্থীর নাম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবং ১৫ মে পর্যন্ত স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন করা যাবে। স্নাতকের ক্ষেত্রে যঃঃঢ়ং://বংঃরঢ়বহফ.ঢ়সবধঃ.মড়া.নফ/#/ পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।

 

২০২৪ সালে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এবং নগদ-এর মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে এই বৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব পায় নগদ। সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, সেবা গ্রহণে খরচ কম এবং ঝামেলাহীন সেবা প্রদানের কারণে নগদকে বেছে নেয় সরকার।

 

প্রত্যেক স্তরের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সচল নগদ অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করতে হবে। এরপর প্রতিটি স্তরে যাচাইবাছাই শেষে ওই নগদ ওয়ালেটেই বৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫০০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ভাতা, উপবৃত্তি এবং অনুদান বিতরণ করছে নগদের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল আর্থিক সেবাটি। এ ছাড়া প্রাথমিকের উপবৃত্তি ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

 

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপবৃত্তি, ভাতা ও অন্যান্য সহায়তা দীর্ঘদিন ধরে কম খরচে বিতরণ করে আসছে নগদ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে হচ্ছে এনসিপিকে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» দেশের অর্থনীতি ‘ফোকলা’ করে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: মঈন খান

» ব্যবসায়ী শাহ আলম হত্যা মামলায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার

» পাউরুটি কীভাবে খেলে ওজন কমবে?

» সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা

» প্রকাশ্যে ক্যাটরিনার বেবিবাম্প!

» সহোদর দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

» অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপিকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল

» পূজার ছুটিতে পূর্বাঞ্চলে চলবে ৪ জোড়া স্পেশাল ট্রেন

» কিমা পুরি তৈরির রেসিপি

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

শিক্ষা সহায়তা উপবৃত্তি নগদ-এ, শুরু হয়েছে নিবন্ধন

[ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার] বিভিন্ন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে আবারো ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট’-এর বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বরাবরের মতো ডাক বিভাগের মোবাইল ডিজিটাল আর্থিক সেবা নগদ-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এই বৃত্তি ও উপবৃত্তি।

 

বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও অন্যান্য সুবিধাদির জন্য প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বৃত্তি ও উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন। এই দফায় ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান করবে সরকার। ইতিমধ্যে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

নিবন্ধনের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কয়েক ধাপে যাচাই বাছাইয়ের পর নির্বাচিতরা এই উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন, যা বিতরণ করা হবে নগদ-এর মাধ্যমে।

 

গত ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ষষ্ঠ ও নবম (বিশেষ ক্ষেত্রে) এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান শ্রেণীর জন্য শিক্ষার্থীর নাম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এবং ১৫ মে পর্যন্ত স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নাম ও প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন করা যাবে। স্নাতকের ক্ষেত্রে যঃঃঢ়ং://বংঃরঢ়বহফ.ঢ়সবধঃ.মড়া.নফ/#/ পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে।

 

২০২৪ সালে বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তর, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট এবং নগদ-এর মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে এই বৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব পায় নগদ। সারাদেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, সেবা গ্রহণে খরচ কম এবং ঝামেলাহীন সেবা প্রদানের কারণে নগদকে বেছে নেয় সরকার।

 

প্রত্যেক স্তরের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নাম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সচল নগদ অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করতে হবে। এরপর প্রতিটি স্তরে যাচাইবাছাই শেষে ওই নগদ ওয়ালেটেই বৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫০০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮০০০ টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০,০০০ টাকা হারে ভর্তি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন ভাতা, উপবৃত্তি এবং অনুদান বিতরণ করছে নগদের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে ডাক বিভাগের এই ডিজিটাল আর্থিক সেবাটি। এ ছাড়া প্রাথমিকের উপবৃত্তি ও সমাজসেবাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভাতা বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

 

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপবৃত্তি, ভাতা ও অন্যান্য সহায়তা দীর্ঘদিন ধরে কম খরচে বিতরণ করে আসছে নগদ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com